কমরেড জ্যোতি বসুর ১১১তম জন্মজয়ন্তীতে প্রাণের শুভেচ্ছা

আবীর আহাদ
০৮ জুলাই। আজ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিক, পশ্চিমবঙ্গের একটানা ২৭ বছরের মুখ্যমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় অন্যতম জাতীয় নেতা কমরেড জ্যোতি বসুর ১১১তম জন্মজয়ন্তী। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সুহৃদ ও শুভাকাঙ্ক্ষী। তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি তাঁর গভীর সান্যিধ্যে যেতে পেরেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় প্রথম তাঁর সাথে আমার পরিচয়। তারপর থেকে তাঁর মহাপ্রয়াণের আগ পর্যন্ত তাঁর সাথে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহত ছিলো। সে-সম্পর্ক ছিলো যেনো পিতা-পুত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলো তাঁর নাড়ির সম্পর্ক। আমার সৌভাগ্য যে, এদেশ থেকে কলকাতা যেয়ে যে-কেউ তাঁর সাথে দেখা করতে গেলে কোনো এক ফাঁকে তিনি আমার নামটি উচ্চারণ করে বলতেন, 'আমার ছেলেটা কেমন আছে?'
২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি মৃত্যুর দেড়/দু'বছর আগে বাবুজির সাথে আমার শেষ দেখা। কলকাতার বিধাননগরস্থ ইন্দিরাভবনে। তিনি আমার 'আমি মুক্তিযোদ্ধা বলছি' গ্রন্থটি গভীর মনোযোগ সহকারে পড়ছিলেন আর টুকরো টুকরো কথাবার্তা বলছিলেন। বাবুজির শেষ কথাটি এখনো কানে বাজে : নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যেই মহাজীবন নিহিত।
আমি সর্বদা হৃদয় দিয়ে এ-মহাপুরুষকে অনুভব করি। তাঁর বিদেহী আত্মার পরম শান্তি কামনা করছি।
লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা।