মহম্মদপুর খাদ্য গুদাম সড়ক
বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে ভরে যায় সড়ক

মহম্মদপুর প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুর খাদ্য গুদাম সড়কে বৃষ্টি হলেই সড়কটি কাদা পানিতে ভরে ভরে যায়। উপজেলা সদরের কৃষি ব্যাংকের সামনে থেকে সরকারি খাদ্য গুদামের গেট পর্যন্ত অন্তত পাঁচশত মিটার পাকা সড়কের অবস্থা শোচনীয় রূপ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির পিচঢালাই উঠে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কটির পাশে উপজেলা পরিষদের এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে প্রতিদিন হাজার হাজার সাধারণ জনগণ সেবা নিতে এই সড়কটি দিয়ে। এছাড়াও ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও মহম্মদপুর বাজারে সাধারণ জনগণ এই সড়কটি দিয়ে চলাফেরা করেন। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেনা। আবার সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে প্রচুর পানি জমে থাকায় যাতায়াতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যলয়, সরকারি খাদ্য গুদাম ও ইউনিয়ন পরিষদের অফিস এ সড়কে পাশে হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে।
এছাড়া প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন, প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। সব মিলিয়ে বেহাল এই সড়কটি নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। এ অবস্থায় সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির ইট-বালু, সুরকি, পাথর ও বিটুমিন উঠে গিয়ে পুরোটাই গর্ত ও নালা সৃষ্টি হয়েছে।
মহম্মদপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ নওশের আলী বলেন, বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকে মনে এ যেন বড় একটি পুকুর। তখন পায়ে হেঁটেও চলাচল করা যায় না। আবার বৃষ্টি না থাকলে ধুলাবালিতে একাকার হয়ে যায় সড়কটি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নায়েব আলী জানান, আমি একজন কসমেটিক ব্যবসায়ী এই সড়কের পাশেই আমার দোকান। সড়কটি এতোটাই খারাপ হয়েছে যে কোন কাস্টমার আসতে পারে না। এই সড়কের পাশের ব্যবসায়ীদের কাস্টমারের অভাবে বেজাকেনা না হওয়ায় অনেক ক্ষতির মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা সড়কটি দ্রুত সংস্থারের দাবী জানাচ্ছি।
ইজিবাইকচালক এরশাদ বলেন, সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। সড়কে গাড়ি নিয়ে নামলে মনে হয় পুকুরে নামলাম। এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যেই ইজিবাইক উল্টে যায়। আবার অনেক সময় গর্তে পড়ে গাড়ি বিকল হয়ে যায়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এই সড়কটি দিয়ে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে।প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।
উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন বলেন, খাদ্য গুদাম সড়কটির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিইডির প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
(বিএস/এসপি/জুলাই ০৮, ২০২৫)