টাঙ্গাইলে নদীর পানি বৃদ্ধি, দুর্ভোগে পাড়ের মানুষ

সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আগামী দুই-তিন দিন পানি আরো বাড়লে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে নদী পাড়ের মানুষের দূর্ভোগ আরো বাড়বে। এ ছাড়াও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়,বিভিন্ন নদীর পানি যে হারে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে জেলার নাগরপুর, গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ এরই মধ্যে বিভিন্ন নদী বেষ্টিত এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এ ছাড়া বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, বহুকাল ধরেই এ ইউনিয়নটি রাক্ষুসী যমুনা গ্রাস করতেছে। যমুনা নদীর পানি কয়েকদিন ধরে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও শুরু হয়েছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
যমুনা নদীর পাড় ঘেষা হুগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৃর-ই আলম তুহিন বলেন, এ ইউনিয়নটি যমুনা নদীর সংলগ্ন হওয়ায় দ্রুত পানি প্রবেশ করে। এতে চলাচল করতে গিয়ে চরম বিপাকে পরে ইউনিয়নবাসী।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাখিল রায়হান বলেন, যমুনা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই-তিন দিন পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে জেলায় সকল নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যমুনাসহ সকল নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
(এসএএম/এএস/জুলাই ১০, ২০২৫)