কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ অটোরিকশাচালক রফিকুল ইসলামের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার মোল্লাতেঘড়িয়া এলাকার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশ থেকে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রফিকুল ইসলাম মোল্লাতেঘড়িয়া আদর্শপাড়া এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
স্বজনদের দাবি, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। সেনাবাহিনী ও পুলিশ কথা বলার পর মহাসড়ক ছেড়ে মরদেহ নিয়ে শহরগামী অভ্যন্তরীণ রাস্তা অবরোধ করে রাখে তারা।
স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানান, আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ চলবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়,সকালে সড়কের পাশে ওই ব্যক্তির মরদেহ গাছের সাথে গলায় দঁড়ি দিয়ে বাধা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন।
এদিকে হত্যার প্রতিবাদে সকাল ১১টা থেকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এ সময় সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এলাকাবাসী মহাসড়ক ছেড়ে দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর এলাকাবাসী মোল্লাতেঘরিয়া থেকে শহরের থানা মোড় পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রাস্তা অবরোধ করে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
নিহতের ছেলে নিলয় বলেন, গতকাল রাত ৯টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন বাবা। এরপর রাতে বাড়িতে না ফিরলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পাইনি। আজ ভোর থেকে আবার খুঁজতে বের হয়। কুমারখালীতে ছিলাম। এ সময় ফোন পায় বাবার মরদেহ পাওয়া গেছে। তার দাবি দুর্বৃত্তরা বাবাকে মেরে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। সার্বিক বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত কাজ চলছে। মহাসড়কে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
(এমএজে/এএস/জুলাই ১১, ২০২৫)