তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা ও আসামি ছিনতাই মামলার ৩৫ আসামিকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলা দায়েরর পর আসামিরা হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। ৬ সপ্তাহ শেষে আসামিদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। রবিবার (১৩ জুলাই) আসামিদের ৬ সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়।

আজ সোমবার আসামিরা গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক জামিন মঞ্জুর না করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে আসামিদের গোপালগঞ্জ জেলা কারগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুকান্ত বাউল।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গোপালগঞ্জের ঘোনপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মীরকে গ্রেফতার করতে তার কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে হাতকড়া পড়াতে যান। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে চেয়ারম্যানকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় মুকসুদপুর থানার এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল সহ ৪ জন আহত হয়। পরে মুকসুদপুর থানার ওসি সহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

ঘটনার পর মুকসুদপুর থানার এসআই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে পশারগাতী ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল কুমার দে, সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মীর সহ ৩৯ জনের নাম উল্রেখ ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. কাজী আবুল খায়ের বলেন, পুলিশের উপর হামলা ও আসামি ছিনতাই মামলার আসামিরা ৬ সপ্তহের অন্তবর্তী কালীন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তারা আজ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ কোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।বিজ্ঞ বিচারক তাদের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

(টিবি/এসপি/জুলাই ১৪, ২০২৫)