শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলার ঘটনায় ট্রল করে ফেসবুকে "ট্যাংকের এসি খুব আরামদায়ক শুনেছি* এমন আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক)  মুশফিক রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এই পোস্টের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে দিনাজপুর সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তাদের বিক্ষোভের মুখে বুধবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়।

একইসঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের দাবিতে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দিনাজপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশফেকুর রহমানের নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ট্রল করে একটি আপত্তিকর পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন 'ট্যাংকের এসি খুব আরামদায়ক শুনেছি'।

ফেসবুকে পোস্ট দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তাঁরা তাকে দিনাজপুর থেকে প্রত্যাহার ও গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশফেকুর রহমানকে দিনাজপুর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে তাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক একরামুল হক আবির এই প্রতিবেদক শাহ্ আলম শাহী'কে জানান, 'এক বছর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোসফিকুর রহমানের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত দিনাজপুরে কর্মরত রয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের মদতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নানা সময়ে হেনস্তা করে আসছেন। বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির সভায় হামলার ঘটনায় ট্রল করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। আমাদের একটাই দাবি তাকে দিনাজপুর থেকে প্রত্যাহার করে তার নামে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করতে হবে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে আসবো না।

পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন এই প্রতিবেদক শাহ্ আলম শাহীকে বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেখার পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোশফেকুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পর্বতীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এসএএস/এএস/জুলাই ১৭, ২০২৫)