রাজন্য রুহানি, জামালপুর : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেছেন, 'আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি। আমাদের সাড়ে চারহাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। মিথ্যে জেল-জরিমানার শিকার হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াসহ অংসখ্য নেতাকর্মী। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে।'

তিনি আরও বলেছেন, 'বিএনপির ৩৮ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যে গায়েবি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার জীবনদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের স্থায়ী রূপ দিতে হলে আগামী দিনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই।'

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের স্টেশন বাজারে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত জেলা যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মিটর্ফোডে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাশাবিকভাবে খুন, সারাদেশে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে জেলা যুবদলের এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম খান সজীবের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জান লিটন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ বাবু, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফি, মেলান্দহ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন মনু, মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কালাম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দয়াময়ী মোড়ে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে জেলা যুবদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

(আরআর/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২৫)