বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা : প্রবাদে আছে "অতি লোভে তাঁতি নষ্ট" এমন ঘটনা ঘটিয়েছে একজন শিক্ষিকা। তিনি হলেন বগুড়ার সোনাতলা সবুজ সাথী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভৌত বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষিকা মালিকী জাহান উঠেছে তার বিরুদ্ধে গুরুত্বর আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদিও বিষয়টি জানাজানি হলে তরিঘরি করে আত্মসাৎ এর অর্থ ফেরত দিলেন বলে দাবি করেন শিক্ষিকা মালিকী জাহান।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি দুইটি বিদ্যালয় থেকে বেতন উত্তোলন করেছেন। একটি সোনাতলা সবুজ সাথী উচ্চ বিদ্যালয় আরেকটি সারিয়াকান্দি উপজেলার নওখিলা পি.এন.উচ্চ বিদ্যালয়। এই চতুর শিক্ষিকা প্রতারণার মাধ্যমে এনটিআরসিএ কর্তৃক আলাদা ইনডেক্স নম্বর ও ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ব্যবহার করেছেন।

মালিকী জাহান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ২০২২সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নওখিলা পি.এন উচ্চ বিদ্যালয় হতে ওই বছরের বেতন নিয়েছিলাম। কিন্তু ২০১৯ সালে সবুজ সাথী উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি কিভাবে পূর্বের বিদ্যালয় অর্থাৎ নওখিলা পি.এন.উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বেতন উত্তোলন করলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিরব থেকেছেন। তবে তিনি বলেন, আমি এই টাকাগুলি রেখেছিলাম ভেবেছিলাম কেউ জানবে না, পরে এটা নিয়ে জানাজানি হলে আমি গত ১৬ই জুলাই বুধবার ১ লাখ ৩১ হাজার ২'শ টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু ওই সময়ে এক বছরে কি পরিমান টাকা উত্তোলন করেছেন এ বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

তিনি আরো জানান, আমি যে টাকাটা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তুলেছিলাম হয়তোবা চাকরি শেষে সেই টাকা জমা দিতাম। তার অর্থ এই দাঁড়ায় যে ওই টাকা আত্মসাৎ এর পরিকল্পনায় মত্ত ছিলেন ওই শিক্ষিকা।

সবুজ সাথী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোহাসিনা বেগমের কাছে প্রশ্ন ছিল, শিক্ষিকা মালিকী জাহান বিগত বছরে কত টাকা উত্তোলন করেছেন এবং কত টাকা ফেরত দিয়েছেন? উত্তরে তিনি অসুস্থতার কথা বলে ফোনটি কেটে দেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি মুটামুটি জেনেছি এবং এটি একটি অপরাধ মুলক কাজ তবে পুরা বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে জানানো হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রমজান আলী আকন্দ এর কাছে জানতে চাওয়া হয়, দু থেকে আড়াই বছর আগের উঠানো বেতন এতদিন পর তরিঘরি করে জমা দেয়াটা কতটুকু সমোচিন বলে আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো কতটুকু সে অপরাধ করেছে এরপর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএস/এসপি/জুলাই ১৯, ২০২৫)