স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় নির্বাচনের জন্য সারাদেশে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমনটাই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা জানান তিনি।

ইসি সচিব বলেন, আমরা অনেক আগে থেকে ভোটের কাজ শুরু করেছি। আগে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে নির্বাচনী কাজের জন্য দেড় লাখ ইভিএম সেট ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, ছয়টি সফটওয়্যার, পাঁচটি যানবাহন এবং ৯ হাজার ২০০টি র‌্যাক কেনা হয়। এসব ইভিএমের ভবিষ্যৎ কী- জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আমরা কমিটি গঠন করবো। সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমরা ভোটে ইভিএম ব্যবহার করবো না।

এদিকে, আগামী নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে খুব টানা হেঁচড়া হচ্ছে। বিশেষ করে সরকার এবং বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে এ নিয়ে দরকষাকষি হয়েছে। বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করে আসছে। ঠিক তা না মানলেও সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কবে নাগাদ হবে তা খোলাসা করা হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, যেটা সব সময় উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলে আসছেন। সেটাই জানি, যেটা আপনি জানেন- দেশবাসী জানে, ওনার বক্তব্য থেকে। সেটা আমিও জানি। সরকার কিংবা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা না পেলেও, কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশন ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্বাচন কমিশনকে এখনো জানানো হয়নি। ইটস ভেরি ডিফিকাল্ট ফর মি টু রেসপন্ড, আমি নিজেই জানি না এক্স্যাক্ট ডেট। তবে ফেব্রুয়ারি, রমজানের আগে অথবা এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভোট হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সিইসি এসব কথা বলেন।

সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সরকার ইতিমধ্যে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছে। চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু সম্ভব। জনগণ যদি আমাদের সঙ্গে থাকে, কোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিই সমস্যার কারণ হবে না। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যে দিন নির্বাচন হোক, আমরা একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

সরকার থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা প্রস্তুত হতে বলেছেন সেরকম ইসিকে বলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ধরে নিচ্ছি, ইট ইজ আওয়ার অ্যাসাম্পশন (আমাদের ধারণা) যে বর্তমানে যে টাইম ফ্রেম বলা হচ্ছে, আইদার আর্লি ফেব্রুয়ারি বিফোর রমাদান, অর ইট মে বি সাম টাইম ইন দ্য ফার্স্ট হাফ অব এপ্রিল। হতে পারে, এপ্রিলের প্রথম দিকে হতে পারে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০২৫)