ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে নিহত কর্মীর দোয়ার মাহফিলে এসে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমান ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে নিহতদের স্বরণ করে বলেছেন, একটি মেসেজ নিয়ে আসছি সেটা হলো ২৭ জন নিহত, এটা বিশ্বাস করি না। এরচেয়ে সংখ্যা আরও বেশী হবে। আমরা দোয়া করি তারা যেন জান্নাতবাসী হয়। নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে আমরা সংগঠন হিসেবে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অর্থ, রক্ত যা যা লাগবে আমাদের সহকর্মীরা দিবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে ঈশ্বরদীর টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে ঢাকায় যাওয়ার পথে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণকারী জামায়াত কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান কলমের দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক্তার শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। এসময় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আল কোরআন মানবজাতির হেদায়েতের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। কোরআনের দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম হবে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করা হবে। দুর্নীতির জাল ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হবে। দুর্নীতবাজের অস্তিত্বও দেশে থাকতে দেব না। যেখানে দুর্নীতি সেখানেই প্রতিবাদ করা হবে। যতদিন দেশের মানুষের মুক্তি না মিলবে ততদিন লড়াই চলবে। এ দেশে মানুষ আর কোন দুর্নীতিবাজদের দেখতে চায় না। ফ্যাসিস্ট ও জালিম যত শক্তিশালীই হোক জামায়াতে কোন জালিমকে ভয় করেনা।

অনিয়ম- দুর্নীতি ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়তে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, লড়াই করতে আপনারা তৈরি আছেন তো। এটা চলমান থাকবে। আমি সেদিন মঞ্চ থেকে পরে গিয়েছিলাম। আপনারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। আমি যেন দৌড়ের থেকে দুনিয়ার জীবন শেষ করে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।

এরআগে সকালে খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু সাঈদের কবর জ্বিয়ারত করে হেলিকপ্টার যোগে ঈশ্বরদীর স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। এরপর চর মিরকামারীর কবরস্থানে জামায়াত কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান কলমের কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারতের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। এসময় তার দু’চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরতে থাকে। পরে তিনি মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে পরিবারেরর সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় মৃত্যুবরণকারী মোস্তাফিজুর রহমান কলমের পরিবারের সকল দায় দায়িত্ব জামায়াত নিয়েছে বলে তিনি জানান। তাদের সন্তানরা যেন আগের চেয়ে ভালো থাকে সেজন্য দলীয় নেতাদের সহযোগীতা কামনা করেন।

‎‎জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, সাবেক মাওলানা আব্দুর রহিম, নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, সেক্রেটারি আব্দুল গাফফার খান, সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ আব্দুল্লাহ, এসএম সোহেলসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

(এসকেকে/এসপি/জুলাই ২২, ২০২৫)