ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ কৃষকেরা
সালথায় পাট কাটা ও আঁশ ছাড়ানো কাজে ব্যস্ত চাষিরা

আবু নাসের হুসাইন, সালথা : সোনালী আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর। এবছর ফরিদপুরের সালথায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়। বর্তমানে চলছে পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ। সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকেরা। তবে পাটের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ পাটচাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায়, সকাল থেকেই কৃষকেরা তাদের সোনালী ফসল পাট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ কাছি হাতে পাট কাটছেন, আবার কেউ কেউ পানিতে পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। অনেকেই রোদে-বাতাসে পাট শুকানো কাজ করছেন। আর একাজে পিছিয়ে নেই কৃষানীরা। তারাও রাস্তায় বা বাড়ির সামনে বসে পাট ছাড়ানো ও পাট শুকানো কাজ করছেন। সব মিলিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন তাদের স্বপ্নের সোনালী ফসল পাট নিয়ে। এই পাট যখন বাজারে বিক্রি করতে যায় তখন তাদের মূখে হাসি থাকে না, পাটের দাম কম পাওয়ায়। খরচের তুলনায় বাজারে পাটের দাম কম।
উপজেলার পাটচাষি আব্দুল আওয়াল ও মগবুল হোসেন জানান, সকাল থেকে পাট নিয়েই ব্যস্ত সময় যাচ্ছে চাষিদের। পানির অভাব থাকায় পাটের কালার ভালো হচ্ছে না এবার। এছাড়া শ্রমিকের দাম অনেক বেশি। এক হাজার টাকার নিচে পাওয়া মুশকিল। পাটে খরচ অনেক বেশি। ফলনও একটু কম। পাটের ন্যায্যমুল্যে না পেলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপজেলার কৃষি উদ্যেক্তা মুক্তার হোসেন বলেন, এবছর আমার পাট অনেক সুন্দর আছে। তবে পানি না থাকায় পাট কেটে নদীতে নিতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। এমনিতেই এবছর শ্রমিক দাম ডাবল। সব কিছু মিলিয়ে পাটচাষে খরচ বেড়েছে। বর্তমান বাজারে ভালো মানের পাটের দাম প্রতিমণ ৪হাজার টাকা। যদি প্রতিমণ পাট বাজারে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি হয় তাহলে চাষিরা বেঁচে থাকবে। তানা হলে লোকসান গুনতে হবে বর্গাচাষিদের।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, সালথা উপজেলায় এ বছর ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছে। আগাম বৃষ্টির কারণে কৃষকদের দ্রুত পাট কর্তন করতে হয়েছে। বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় কৃষকদের দুরবর্তী স্থানে নিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। একারণে পাট উৎপাদণ খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। কৃষক যেন পাটের সঠিক দাম পায় এ বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
(এএন/এসপি/জুলাই ২৩, ২০২৫)