রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকাল পাঁচটার দিকে পৌরসদরের নকিপুর হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে উক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উপজেলার পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ লিয়াকত আলী ও বিএনপি কর্মী আনোয়ার-উস শাহাদাতসহ তিনজন আহত হয়। পৌরসদরের নয়টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন উপলক্ষে কাউন্সিলের ভোট গ্রহণের সময় জাল ভোট দেয়াকে ঘিরে উক্ত সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টা থেকে ওয়ার্ডগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একপর্যায়ে ৮ নং ওয়ার্ডের তালিকায় এক শত জাল ভোটার অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ তুলে ভোট গ্রহণ স্থগিতের আবেদন জানান। এসময় প্রতিপক্ষ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ও যুগ্ম সম্পাদক আশেকেলাহী মুন্নার কর্মী সমর্থকরা সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে আক্রমণ করে। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে আনোয়ার-উস শাদাত মিঠু ও বাবু হামলার শিকার হয়। এসময় প্লাস্টিকের পাইপের আঘাতে মাথা ফেটে মিঠু রাস্তার মধ্যে পড়ে গেলে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত ডাক্তার শাকির হোসেন বলেন মিঠুর মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে লিয়াকত আলী বলেন, জাল ডেলিগেট করে ভোট গ্রহণের প্রতিবাদ করায় এমন হামলা হয়েছে। এজন্য তিনি কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেলা নেতৃবৃন্দকে দায়ী করেন। উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি আব্দুল হাইতি এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কর্মী সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এবিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করতে অসবীকৃতি জানান কাউন্সিল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক টিমের প্রধান তাসকিন আহমেদ চিশতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোঃ হুমায়ুন কবির জানান পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

(আরকে/এএস/জুলাই ২৬, ২০২৫)