বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : ৫ আগষ্ট (২০২৪) বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর মাঠ প্রশাসনে দেখা দেয় চরম অস্থিরতা,সেই সাথে আতঙ্ক উৎকন্ঠায় এ জনপদের মানুষ। এমন ভঙ্গুর দশা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যেই এলাকার দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামানিক। যোগদান পরবর্তিতে তিনি তার সমস্ত মেধাকে কাজে লাগিয়ে নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে বসেন আলোচনায়। উদ্যোগ নেন বিদ্যমান অস্থিরতাকে কিভাবে স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে নেয়া যায়।

তবে ইউএনও'র বলিষ্ঠ ভূমিকায় আইন শৃঙ্খলায় ফিরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি, জনমনে ফিরে পায় স্বস্তির সুবাতাস। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে আইন শৃঙ্খলায় আসে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা।

বিদ্যমান পরিস্থিতিকে একেবারেই স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে থানার অফিসার ইনচার্জ মিলাদুন নবী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের সাথে বারংবার চলে মতবিনিময়। তীক্ষ্ম মেধায় সকলের সহযোগিতায় প্রতিস্থাপন করেন এই অঞ্চলের নাগরিক সেবার মানচিত্র। যদিও ইউএনও স্বীকৃতি প্রামাণিক এর যোগদানের পর পরই আসে হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। কিছু দিন পর মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ উৎসব। ফলে একেবারেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুটি বৃহৎ উৎসব উদযাপন করেন এ উপজেলার মানুষ।

আন্দোলন পরবর্তীতে ভঙ্গুর দশা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনার যুগান্তকারী উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা ফিরে যায় শ্রেণী কক্ষে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ৫ই আগষ্টের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করে উপজেলা প্রশাসন সামলানোর পাশাপাশি সহকারী কমিশনার ভূমি, পৌরসভার দায়িত্ব পালন সেই সাথে পালন করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। প্রায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য না থাকায় তিনি সভাপতির পদে চলমান কার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছিলেন। সে কারণে ইউএনও'র ব্যস্ততা বহুগুণে বেড়ে গেলেও বিন্দুমাত্র কমেনি নাগরিক সেবার মান। এতে করে উপজেলাবাসীর মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি। সেই সাথে সন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে এ জনপদের মানুষের মাঝে।

ইউএনও স্বীকৃতি প্রামাণিক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলেই ওই মূহুর্তে যোগাদান করেছি তবে এখানকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা কিন্তু সে সময়ে আমাকে প্রচন্ড সহযোগিতা করছেন। প্রসাশনিক কাজ এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করলেন তিনি।

(বিএস/এএস/জুলাই ২৯, ২০২৫)