চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শাহীন আলমকে অবশেষে আটক করেছে পুলিশ। তিন দফা মানববন্ধনের পর অবশেষে ধর্ষক শাহীনকে গ্রেপ্তার হলো।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পলাতক অবস্থায় গাজীপুরের মেট্রোবাসন থানার চাঁদপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে চাটমোহর থানা পুলিশ। সে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড়শালিখা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে ও স্থানীয় মুদি দোকান ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বড়শালিখা গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী বাবার কাছ থেকে দশ টাকা নিয়ে শাহীন আলমের দোকানে বিস্কুট কিনতে যায়। এ সময় দোকানের পাশেই শাহীনের ছোট ভাইয়ের বাসায় কাঁঠাল দেখানোর নাম করে ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে যায় শাহীন।

বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মুখ ও হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শাহীন। এরপর পরের দিন (২৩ জুল্ইা) ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ধর্ষক শাহীনকে আটক করতে না পারায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। পরপর তিন দফা হয় মানববন্ধন। অবশেষে একসপ্তাহ পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের বাসন এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা শাহীন আলমকে আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, অভিযুক্ত শাহীনকে আটকের পর গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

(এসএইচ/এসপি/জুলাই ৩০, ২০২৫)