গলাচিপায় অধিকাংশ আশ্রয়ণকেন্দ্রে এখন গরু-ছাগলের বসবাস

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বড়শিবা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া সরকারি আশ্রয়ণকেন্দ্রটি এখন পরিণত হয়েছে গরু-ছাগলের আবাসস্থলে। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত ২৮টি পাকা ব্যারাকের অধিকাংশ ঘর দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে কোনো মানুষ না থাকায় এখন নিয়মিতভাবে গবাদিপশুর অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আশ্রয়ণকেন্দ্রের প্রায় প্রতিটি ব্যারাক ঘরই পরিত্যক্ত। কিছু ঘরে বাঁধা রয়েছে গরু-ছাগল। স্থানীয়দের অভিযোগ, আশ্রয়ণের বেশ কয়েকটি ঘরে জুয়া ও মাদকসেবীদের আসরও বসত একসময়। এসব কর্মকাণ্ড ও প্রভাবশালী মহলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রকৃত আশ্রিতরা একে একে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আশ্রয়ণকেন্দ্রের সভাপতি মো. হানিফ মিয়া বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এখানে নানা অপকর্ম চলছিল, যা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকের ছত্রচ্ছায়ায় পরিচালিত হতো। গত ৫ আগস্ট এসব কার্যক্রম বন্ধ হলেও এখনো গরু-ছাগলের দখল চলছে। আমি প্রতিবাদ করলে উল্টো হুমকির মুখে পড়ি।”
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “বিষয়টি আগে জানতাম না। এখন জানলাম। দ্রুত সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের এমন ব্যবহারে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি—যাদের জন্য এই কেন্দ্র, তারা ঘর পাচ্ছে না, অথচ গরু-ছাগলের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে প্রকল্পটি। গলাচিপা উপজেলার অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্র অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তদারকি ও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
(এসডি/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২৫)