কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে মধ্যরাতে

রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : তিন মাস দুই দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে কাপ্তাই হ্রদে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ। আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা। হ্রদে মাছ শিকারে নামতে জেলেরা পুরানো নৌকা ও জাল মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কাপ্তাই ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র নামে খ্যাত আপস্টিম জেটি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে কর্মচঞ্চল্য ফিরেছে। এদিকে, মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শুধু জেলে পাড়া নয়, কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিন। দীর্ঘ ৯২ দিনের কর্মহীন জীবনের অবসান ঘটাতে প্রহর গুনছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।
বিএফডিসির রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য কাপ্তাই হ্রদে মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমাদের উপকেন্দ্রগুলোর যেসব অবকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেসব আমরা শেষ করেছি। অন্যান্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, সেসবও শেষ হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবছরও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।এ হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ২৬ হাজার জেলে পরিবার।
কাপ্তাই ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র নামে খ্যাত আপস্টিম জেটি ঘাটে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ শাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালে যে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তাতে জেলেদের
পরিবার সংসার চলার কঠিন হয়ে পরে। দীর্ঘ তিন মাস দুই দিন পর মাছ ধরতে নামতে পারবে এতে খুশি আমরা।
সুশীল বিকাশ চাকমা জানান, হ্রদে নামার জন্য যা যা প্রস্তুতি, সবকিছু শেষ করেছি। জাল ও নৌকা মেরামত করা হয়েছে। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা।
(আরএম/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২৫)