ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতারের দাবিতে বাদির সংবাদ সম্মেলন

মো: মাহবুবুর রহমান, ঝালকাঠি : গত ২৭ জুলাই ঝালকাঠির নলছিটি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে পিংকি রানী হালদার নামের এক গৃহবধূ। মামলার বাদি নলছিটির সজীব চন্দ্র দাসের স্ত্রী। মামলায় একই এলাকার দুই ভাই মুজিবর হাওলাদার এবং বাবুল হাওলাদারকে আসামী করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ শনিবার রাত ৮ টায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ঝালকাঠি জেলা শাখা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মামলার বাদী পিংকি রানী হালদার।
সংবাদ সম্মেলনে পিংকি রাণী বলেন, 'মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে আসামী ও তার পরিবারের লোকজন। তারা এখনো এলাকায় ঘুরাঘুরি করছে। আমি দ্রুত আসামী গ্রেফতারের জন্য সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানাই। আসামীরা আমাকে স্বামী সন্তানসহ গৃহছাড়া করার পরিকল্পনা করছে।
মামলার এজাহারে বাদি পিংকি রানী হালদার লিখেছেন, '২০২৩ সালের ৪ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৬ জুলাই টানা আড়াই বছর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় আসামী মজিবর তাকে ধর্ষন করে আসছে। তাদের ১১ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আসামী মজিবর হাওলাদার স্থানীয় নামকরা সুদখোর ও প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে টাকা সুদে দিয়ে পরবর্তীতে টাকা আদায়ের নামে হয়রানী ও তাহাদের সর্বস্য আত্মসাৎ করা তাহাদের একমাত্র নেশা ও পেশা।
আমার স্বামী সাংসারিক কারণে টাকার খুব প্রয়োজন হওয়ায় মজিবর হাওলাদার এর নিকট ধার বাবদ ২০ হাজার টাকা চাইলে সুদে ২০ হাজার টাকা প্রদান করিয়া ০৩টি সাদা ষ্ট্যাম্পে জামানতের কথা বলিয়া স্বাক্ষর রাখে।
টাকা পয়সা লেনদেনের কারণে প্রায়ই ছলছাতুরির সুযোগ নিয়া আমাদের বাড়ীতে আসা যাওয়া করিতো এবং আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার কারনে আমার উপর আসামীর কু-দৃষ্টি পরে। একাধিকবার আসা যাওয়ার কারনে আমাকে ভয়ভীতি দেখাইয়া আমার স্বামীর বাড়িতে না থাকার সুযোগে মজিবর হাওলাদার আমাকে ধর্ষণ করে। যাহার ফলশ্রুতিতে আমার গর্ভে মজিবরেন একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। যাহার নাম রুদ্র দাস, বয়স- ১১ মাস।' এ ঘটনায় থানায় মামলাটি দায়ের করেছে পিংকি রানী।
(এমআর/এসপি/আগস্ট ০২, ২০২৫)