সোনালী আঁশে সোনার স্বপ্ন দেখছেন সোনাতলার কৃষক

বিকাশ স্বর্ণকার, সোনাতলা : বগুড়ার সোনাতলায় কৃষকের চোখে মুখে এখন সোনালী আঁশের সোনার স্বপ্ন। একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে প্রচুর বৃষ্টি তার মধ্যেই গুন গুন গানের তালে মাঠে পাট কাটতে শেষ মুহূর্তে একেবারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষক। যদিও দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট ফলে বেশি দরে শ্রমিক নিয়ে পাট কাটতে হচ্ছে সে ক্ষেত্রে পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে বেশ হতাশায় রয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে,পাটের বীজ বপন থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত খরচ সহ পরিশ্রম মিলিয়ে মুলধন ঘরে উঠবে কিনা এখনই কৃষকেরা করছেন তার হিসেব নিকেশ। এদিকে পাট কাটা শেষে সেগুলো জাগ দিয়েছেন পানিতে। জাগ শেষে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পর চলবে শুকানোর পালা। পরিশেষে বিক্রির জন্য ক'দিন পর পাট নিয়ে যাবে কৃষক হাটে। তবে বেশি দরে পাট বিক্রি করলে কৃষকেরা থাকবে ফুরফুরে মেজাজ সেই সাথে আনন্দের হাসি ফুটবে কৃষকের মুখে।
পাকুল্লা চরাঞ্চলের কৃষক ইলিয়াস আলী জানান, গত বছর পাট চাষে খরচের তুলনায় কম টাকা ঘরে উঠছে সে কারণে অনেকেই এবার পাট চাষ করেনি।
এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন পাট চাষ বৃদ্ধিতে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা সহ দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের পরামর্শ।
অফিসের তথ্যমতে, এবার এ উপজেলায় ১৫৮০হেক্টর জমিতে কৃষক পাট চাষ করেছেন। যদিও গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম। উল্লেখযোগ্য, বঙ্গবীর মহারাষ্ট্র, রুবি-১, সম্রাট সহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের পাট। অনুকূল পরিবেশ থাকায় পাটের বাম্পার ফলনের আশা করছে অফিস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে এবং বিঘাপ্রতি ৯/১০মন হারে ফলন হলে গড়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৫০ মণ পাট উঠবে কৃষকের ঘরে। এতে করে পাট থেকে প্রায় ৩২ কোটি টাকা অর্জন হতে পারে এ অঞ্চলের কৃষকের।
(বিএস/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০২৫)