ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কম্বাইন্ড পদ্ধতিতে আউশ ধান চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফোঁটে উঠেছে। সরকারী প্রণোদনা, চাষের খরচ কম ও উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্বুদ্ধ করণের ফলে ফসল ভালো হওয়ায় কৃষকরা আবারও আউশ ধান চাষে স্বপ্ন দেখছেন। ইতোমধ্যে বোরো ও আমন ধানের চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঠে একেবারেই কমে যাচ্ছে আউশ ধানের চাষ।

মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আউশ ধান হলদে রং ধারণ করেছে। দু সপ্তাহ পরেই শুরু হবে এসব ধান কাটা। এবছর সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষক। এবছর উপজেলায় প্রায় ৩শ ৪৫ হেক্টর জমিতে আউশের ব্রি ধান-৯৮, ৪৮, ৮৫ ও বিনা ধান ১৯ জাতের চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। কৃষকদের মাঝে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল, নিজপুবাইল, পাঁড়া পাঁচাশি, বৃ-পাঁচাশি, রংপুর ও পাইকুড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা কম্বাইন্ড পদ্ধতিতে আউস ধানের আবাদ করেছেন।

চর পুম্বাইল গ্রামের কৃষক সিরাজ আলী পাঠান (৬০), এমদাদুল হক (৬৫) আলী হোসেন (৫৮) আলম মিয়া (৩৫) ও আলম মিয়ার (৩৫) সাথে কথা হলে তারা জানান, অন্য ফসল না থাকার কারণে মাঠে গরু ছাগল বিচরণ করে খুব বেশি ফলে একসাথে চাষ করলে দেখাশুনা করার সুযোগ তৈরি হয় এবং পোকামাকড়ের হাত থেকেও ফসলকে রক্ষা করা যায় এবং পাকা অবস্থায় বাবুই পাখির আক্রমন থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। ফসল ভালো হওয়াতে প্রতি কাঠায় এবছর প্রায় সাড়ে তিন মন থেকে সাড়ে চার মন ধান উৎপাদন হবে বলে কৃষকরা জানান। বিশেষ করে এসময় বেশির ভাগ জমিই পতিত থাকে। দুটি ফসলের মধ্যে আরেকটি ফসল খুব দ্রুত সংগ্রহ করা যায় এবং পরবর্তীতে সঠিক সময়ে রোপা আমান চাষ করা যায়। এছাড়াও গরুর প্রয়োজনীয় খাদ্য ন্যাড়া পাওয়া যায়।

কৃষক দীন ইসলাম (২৫) জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে পতিত জমিতে আমরা কম্বাইন্ড পদ্ধতিতে আউশ চাষ করেছি। কম্বাইন্ড পদ্ধতিতে চাষের ফলে আমরা অনেক সুবিধা পাচ্ছি। এবং অন্য কোন ফসল চাষে চাপও পড়ছে না।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আখসার খান বলেন, আউশ ধান চাষের ফলে ফসলের নিবিরড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর কম্বাইন্ড পদ্ধতিতে চাষের ফলে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিপা রানী চৌহান জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা ও পরামর্শ প্রদান করে আউশ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

(এন/এসপি/আগস্ট ০৬, ২০২৫)