রামগঞ্জ প্রতিনিধি : রামগঞ্জ উপজেলার ৩নং ভাদুর ইউনিয়নের সিরন্দী গ্রামের মজুমদার বাড়ির প্রবাসী আবুল হাসনাতের ছেলে ও ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র সায়েম হোসেন রাজু (১৩) কে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টায় একই গ্রামের গাইনের বাড়ির গাজী আবুল খায়েরের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৪) মোবাইলের মেমোরীকার্ড দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনে থেকে মাইক্রো বাস যোগে ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ জোর পূর্বক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। সৃষ্ট ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে সায়েমের দাদা মোঃ মোস্তফা দফাদার বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি এসডিআর মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয় সূত্র ও অপহরনকারী সায়েমের দাদা মোস্তফা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টা আমার নাতী উপজেলার ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ সায়েমকে পড়ার টেবিল থেকে মোবাইলের মেমোরীকার্ড দেওয়ার নাম করে আমাদের পাশ্ববর্তী গাইনের বাড়ীর গাজী আবুল খায়েরের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন অপহরন করে নিয়ে যায়। ঘর থেকে ডেকে নিয়ে সায়েমকে মাইক্রো গাড়ীতো তোলার সময় চিৎকার দিলে তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে উপজেলার পশ্চিম শোশালিয়ার গ্রামের রাস্তার পাশে একটি পরিত্যাক্ত বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে সায়েমকে একটি কাপড়ের চাদর বিছিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। পরে অপহরনকারী সাদ্দামের ব্যবহৃত ০১৮২৪৬০১০৯৪ নাম্বার থেকে ফোন করে সায়েমের মা সেলিনা বেগমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে এবং ওই টাকা না দিলে সায়েমকে জীবিত ফেরত দেওয়া হবেনা বলেও জানিয়ে দেন সাদ্দাম। এরই ফাঁকে অপহরনের ঘটনা স্থানীয় শোশালিয়া লোকজন টের টের পেলে রাত ১১টায় তড়িগড়ি করে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় সায়েমকে শোশালিয়া রাস্তার উপর একা রেখে অপহরনকারী সাদ্দাম ও তার সহযাগীরা পালিয়ে যায়। পরে ০১৭২০৬৯৮৯১৫ নাম্বার থেকে ওই এলাকার ফারুক হোসেন নামের এক লোক সায়েমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাড়িতে ফোন করে সায়েমকে নিয়ে যেতে বলে। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে সায়েমের দাদা ও তার আত্মীয়স্বজন এসে রাত ১টায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে আজ শনিবার দুুপুরে সায়েমের দাদা মোস্তফা বাদী হয়ে মোঃ সাদ্দামকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি এসডিআর মামলা দায়ের করেছেন।


এব্যাপারে রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান,তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমএএইচপি/পি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪)