গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সদস্যরা বুধবার (১৩ আগস্ট) তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেছে ।

এদিন তদন্ত কমিশনের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো: আবু তারিকের নেতৃত্বে কমিটির ৬ সদস্য সার্কিট হাউসে প্রথম নিহতদের স্বাজনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। পরে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী , পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন তদন্ত কমিশনের সদস্যরা ।

এরআগে গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কমিশনের সদস্যরা গোপালগঞ্জে পৌঁছে উলপুর, জেলা কারাগার, এনসিপির সভাস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন সহ ঘটনাস্থলগুলো ঘুরে-ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওই কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত রমজান কাজীর মামা কলিম মুন্সি ও রমজান মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি বলেন, আমরা তদন্ত কমিশনের সাথে সার্কিট হাউসে বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে স্বাক্ষাত করেছি । সেখানে আমরা আমাদের লিখিত বক্তব্য দিয়েছি ।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, তদন্ত কমিশনের সদস্যরা ২ দিন গোপালগঞ্জে অবস্থান করে তদন্ত করেছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) কমিশনের সদস্যরা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করবেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) থেকে তারা তদন্ত কাজ শুরু করেন।

উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হামলা চালান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীসহ অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা ও রাতে কারফিউ জারি করে প্রশাসন । পরে কারফিউয়ের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০ জুলাই রাত ৮টায় কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়। তারপর থেকে গোপালগঞ্জ জেলায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। এরপর এ ঘটনার তদন্তে সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ।

(টিবি/এএস/আগস্ট ১৩, ২০২৫)