ফরিদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৩৮টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে, স্থানীয় চাপার বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযানে বিল থেকে ৩৮টি চায়না দুয়ারী জাল উদ্ধার করে তা ভাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জব্দ দেখিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে, এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার চাপার বিলের, কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল অংশে পরিচালিত ওই অভিযান ও ভ্রাম্য আদালতের নেতৃত্ব দেন- সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. শিরীন শারমিন খান।
অভিযান শেষে ফরিদপুর সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোছা. শিরীন শারমিন খান উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মৎস সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও হাট-বাজারে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। চাপার বিলের অভিযানটিও ওই নিয়মিত অভিযানের অংশ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় চাপার বিলে অভিযান চালিয়ে ৩৮টি চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধার করতে সক্ষম হই। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তা জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রাকৃতিক মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্যের রক্ষায় এ ধরণের অভিযান নিয়মিত চলবে বলেও জানান শিরীন শারমিন খান।
এমন একটি অভিযান পরিচালনার জন্য ফরিদপুর সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. শিরীন শারমিন খানকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দানকারি সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, এ অভিযান ভ্রাম্যমাণ আলাদতের মাধ্যমে ৩৮টি চায়না দুয়ারি জালকে জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে ওই দুই কর্মকর্তা সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমুহের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, স্থানীয় কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন, কিছু পুলিশ ও আনসার সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় জন সাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, চায়না দুয়ারি জাল মূলত একটি ফাঁদ, যা ছোট থেকে বড় সব ধরনের মাছ, মাছের পোনা, মাছের ডিম ও অন্যান্য জলজ প্রাণী আটকে ধরে। এর বিশেষত্ব হলো খুবই সূক্ষ্ম ফাঁক বা মেস, যার ফলে শুধুমাত্র মাছ নয়, ছোট ছোট উপকারী জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদও এতে আটকা পড়ে। এটি মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করে এবং জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, যা মৎস সম্পদকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।
(আরআর/এএস/আগস্ট ১৩, ২০২৫)