স্টাফ রিপোর্টার : এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি দায়ের করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। 

দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, ২০০০ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দুদকের অনুসন্ধানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের নামে সর্বমোট ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৯৭৮ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার নামে এফডিআর, আসবাবপত্র এবং হাতে নগদ ও ব্যাংক স্থিতিসহ মোট ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনেরও তথ্য রয়েছে। সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬১ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ৮৬৯ টাকা।

তিনি জানান, অনুসন্ধানের সময় পাওয়া রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের সর্বমোট ব্যয়ের পরিমাণ ২৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪৩ টাকা। এসব সম্পদ অর্জনের বিপরীতে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৩২ লাখ ৮ হাজার ৫৪২ টাকা। এই গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭০ টাকা।

আক্তার হোসেন আরও জানান, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৬০ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭০ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। হুন্ডি কিংবা অন্য মাধ্যমে অর্থ পাচার করে আমেরিকাতে দুটি বাড়ি কিনেন। যার মূল্য ৫৪ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ২৫৮ টাকা। এই টাকা বাংলাদেশের আয়কর নথিতে না দেখিয়ে দেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন তিনি।

এ ছাড়াও তিনি নিজ নামের ২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৫৭ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১৪, ২০২৫)