জামালপুরে মামলাবাজ সবুজার হাত থেকে বাঁচতে চায় ভুক্তভোগী পরিবার

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুর পৌর শহরের বাগেরহাটা গ্রামের মামলাবাজ ফারজানা আক্তার সবুজার হাত থেকে বাঁচতে চায় এক ভুক্তভোগী পরিবার। একই সঙ্গে দখলকৃত জমি উদ্ধার এবং মিথ্যে মামলায় জেলহাজতে থাকা পরিবারের ছেলেকে ফেরত পেতে চায় ওই পরিবারটি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের স্টেশন বাজারস্থ জামালপুর বার্তা অফিসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী পরিবারের চাঁন মিয়া, পরী বেগম হাফেজা বেগম ও সাবিয়া বেগম।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ফারজানা আক্তার সবুজা একজন নামধারী কথিত সাংবাদিক। থানা পুলিশের সাথে সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে সখ্য রেখে নিরীহ মানুষদের বিভিন্ন মামলায় হয়রানি করাই তার পেশা। সেই সাথে এলাকায় তিনি একজন বেপরোয়া নারী হিসেবে পরিচিত। এই মামলাবাজ সবুজা কিছুদিন আগে একই এলাকার মিলনের কাছ থেকে একটি স্ট্যাম্পে জাল সাক্ষর নিয়ে ৮/৯ লাখ টাকা দাবি করে আসছেন। টাকা না দেওয়ায় মিলনের নামে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় যাদের সাক্ষী দেওয়া হয়েছে তারা কেউ স্থানীয় নয়। সাংবাদিকতা না করেও নামমাত্র কার্ডধারী হয়ে সে থানা পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে এসব কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, সবুজার অনৈতিক দাবি মেনে না নেওয়ায় মিলনকে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই গত ১২ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। একই ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তার ভাই ফরিদকেও আসামি দেওয়া হয়। অথচ যেদিন ঘটনার কথা উল্লেখ করে সবুজা মামলা দায়ের করেন। সেদিন ফরিদ একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। এই মামলাবাজ নারী সবুজার এসব অনৈতিক দাবির প্রতিবাদ করলে ভুক্তভোগীদের মিথ্যা মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই মামলাবাজ সবুজাকে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মিলনের মুক্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফারজানা আক্তার সবুজা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি ভুক্তভোগী বলেই মামলা দায়ের করেছি। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
(আরআর/এসপি/আগস্ট ১৪, ২০২৫)