আবু নাসের হুসাইন, সালথা : সবুজে ছেঁয়ে গেছে মাঠ। পাট কাটার পরেই এমন দৃশ্য চোখে পড়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায়। এবছর ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। সার ও কীটনাশকের মুল্যে বেশি থাকায় বাড়ছে উৎপাদণ খরচ।

বর্ষা মৌসুমে এই উপজেলায় ১২ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাট কাটার আগেই জমিতে ধানের বীজ বপন করা হয়ে থাকে। আবার পাট কাটার পরে ধানের চারা রোপন করছে। ধানের আবাদের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যে ধানের গাছে মাঠ সবুজে ছেয়ে যাচ্ছে। তবে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় চিন্তিত চাষিরা। এতে ধান উৎপাদণে খরচ বেড়েছে।

উপজেলার ভাওায়াল ইউনিয়নের কৃষক সিরাজ মোল্যা ও কাইয়ুম মোল্যা বলেন, এবছর পাটের ফলন কম হলেও ধান চাষ করে পুষিয়ে নিতে চাই। পাটের মধ্যেদিয়ে বপনকৃত বীজ অতিবৃষ্টিতে কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। সেসব জমিতে পাট কাটার পরে চারা রোপন করেছি। সার- কীটনাশক ও ডিজেলের দাম না কমায় উৎপাদণ খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে মাঠে ধান গাছ খুব ভালো আছে। এবার ধান ভালো হবে বলে আশা করছি।

গট্টি ইউনিয়নের কৃষক জাহিদ ও সোনাপুর ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে নিচু জমিগুলোতে পাটের মধ্যেদিয়ে ধানের বীজ বপন করা যায়নি। কিছু উঁচু জমিতে বীজ বপন করা হয়। জমিতে ধানের গাছ খুব ভালো আছে। তবে সার ও কীটনাশক এর দামটা একটু কম হলে কৃষকদের জন্য ভালো হতো। আমরা সরকারের কাছে দাবী করবো, কৃষকের দিক তাকিয়ে যেন সার- কীটনাশক ও ডিজেলের দাম কমানো হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, এবছর উপজেলায় ১২ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আশা করি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। আর ৪/৫ দিন পরেই ধানের চারা রোপনের কাজ পরিপুর্ণভাবে শেষ হবে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে আসছি।

(এএন/এসপি/আগস্ট ১৫, ২০২৫)