স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সামনে নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, কী হবে, সেটার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার যে সময়, সেই সময়টা না দিয়ে আগে নির্বাচনের মাধ্যমে একটা কাঠামো তৈরি করা উচিত।

তিনি বলেন, কাঠামোয় লেখা থাকবে, যারাই দায়িত্বে আসুক, তারা পরে এই পদ্ধতিগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে। এরকম হলে কুয়াশাটা অনেকাংশে কেটে যায়। গো ধরে বসে থাকলে আমাদের কিছু হবে না, লাভ হবে দাদাদের আর দিদিদের।

রবিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় স্বস্তির জায়গা হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম এমন মন্তব্য করে আলাল বলেন, এখন আর কোনো সংবাদমাধ্যমে কেউ হস্তক্ষেপ করে না—কেউ বলে না, ‘এই খবরটা প্রচার করতে পারবে না’ কিংবা ‘ওই খবরটা বারবার প্রচার করতে হবে। ’ কোনো সাংবাদিক আর প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়ে বলে না, ‘প্রশ্ন করতে আসিনি, প্রশংসা করতে এসেছি। ’

তিনি বলেন, এখন কোনো সংবাদকর্মী আর উপদেষ্টাদের পেছনে তেলের বোতল নিয়ে হাঁটে না। মুক্ত গণমাধ্যমের কারণে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা হঠাৎ করে হয়নি। বহু আগে থেকেই এ রকম ঘটনা ঘটছিল, কিন্তু প্রচারের নিষেধাজ্ঞার কারণে মানুষ তা জানতে পারত না। এখন মানুষ জানতে পারছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, বক্তব্যে আমরা প্রায়ই শুনি, ‘আপনারা যদি সংশোধন না হন। ’ কিন্তু আমি বলি, ‘আমরা যদি সংশোধন না হই। ’ কারণ, আপনারা আর আমরা মিলে হচ্ছে ‘আমরা’। যতক্ষণ পর্যন্ত এই ‘আমরা’র বোধ জাগবে না, দলগত বিভাজন থেকে কোনো কল্যাণকর কিছু আসবে না।


তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হলো মতভেদ ও বিতর্ক। মতভেদ না থাকলে সমাজ মৃত সমাজে পরিণত হয়। তবে বিতর্ক যেন জাতীয় স্বার্থে আঘাত না হানে। আজকে জাতীয় স্বার্থের জায়গায় আমাদের দৃঢ় থাকতে হবে—যেন কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন না ঘটে। এই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলেরই অভিন্ন অবস্থান রয়েছে। তাই জাতীয় ঐক্যের মঞ্চ এরইমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৭, ২০২৫)