সালথায় চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সালথা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াতে ইসলামী ও স্থানীয়রা। আজ সোমবার দুপুরে সালথা প্রেসক্লাবে পৃথকভাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল ফজল মুরাদ বলেন, নিলুফা ইয়াসমীন নামে এক নারী খেলার মাঠ নিয়ে আমাকে ও ওলিউর রহমান মেম্বর এবং আরটি হাসানকে জড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর মিথ্যা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে এদের ও এদের দোষরদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবী জানাই।
এসময় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মোঃ আজিজুর রহমান, সেক্রেটারী তরিকুল ইসলাম সহ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনের পরে নিলুফা ইয়াসমিন কর্তৃক মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়ে উত্তর চণ্ডিবরদী প্লে গ্রাউন্ড রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকাবাসী।
এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মোঃ ফারুক মোল্যা, ওলিয়ার মেম্বার ও আরটি হাসান সহ আরো অনেকে।
ফারুক মোল্যা বলেন, দীর্ঘদিনের খেলার মাঠটি কিছু লোক জবর দখল করার পায়তারা করছে। খেলার মাঠ রক্ষার পক্ষে থাকা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা সরকারী জায়গায় থাকা মাঠটি রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এর আগে রবিবার দুপুরে খেলার মাঠে নিজের জমি দাবী করে ও স্থানীয়দের বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদা দাবীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন নিলুফা ইয়াসমিন নামে এক নারী।
তিনি বলেন, সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের চন্ডীবরদী গ্রামে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে উত্তর চন্ডীবরদী মৌজায় আমার ৯৩ শতাংশ জমি পতিত রয়েছে। জমিটি পতিত হওয়ায় স্থানীয় যুবক ও তরুণরা সেখানে খেলাধুলা করে। সম্প্রতি পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী পতিত ওই জমিতে শতাধিক আমের গাছ লাগিয়ে বেড়া নির্মাণ করি। আমার জায়গা দখলের চেষ্টা করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আমার কাছে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে আমার জমি ছাড়বে না। পরে এবিষয়ে থানা ও উপজেলায় অভিযোগ দিয়েছি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, জায়গাটি খালি থাকায় স্থানীয় ছেলে-পেলেরা খেলাধুলা করতো। তবে জায়গাটি মালিকানা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে ঝামেলা আছে। আমি নিজে সেখানে গিয়েছিলাম। এখন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর তদন্ত করলে জায়গাটির আসল মালিক বের হয়ে আসবে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ওই জমির মালিকানা যাচাই-বাছাই করতে স্থানীয় তহশীলদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এএন/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০২৫)