সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে   বিএনপি জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টা ধরে মোংলা-খুলনা, মোংলা-বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালি থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত অবরোধ।

রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোংলা-খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের কাটাখালি, খুলনা-বাগেরহাট-পিরোজপুর-বরিশাল মহাসড়কের নওয়াপাড়া, মোংলা-বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কের ফকিরহাট সদর, মোল্লাহাট সেতু, পিরোজপুর-বাগেরহাট ও সাইনবোর্ড- শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়সহ জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে সড়ক অবরোধ। একইদিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিলসহ অবস্থান কর্মসূচি। সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবিসহ সর্বদলীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি জামায়াতসহ সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসন বহাল ছিল। বর্তমান নির্বাচন কমিশনর একটি আসন কমানো প্রস্তাব জেলাবাসীকে হতাস করেছে। আমদের বঞ্চিত করা চলবেনা। নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তাব থেকে সরে না আসলে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে লাগাতর কঠোর আন্দোলন করা হবে। বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন কমানোর প্রতিবাতে ইতিমধ্যে বাগেরহাট জেলাজুড়ে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে।

(এসএসএ/এএস/আগস্ট ১৯, ২০২৫)