পারিবারিক ষড়যন্ত্রের শিকার ব্যবসায়ী আবুল বাশার শামীম

মো: মাহবুবুর রহমান, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাশার শামীম পরিবার কর্তৃক ষড়যন্ত্রের শিকারের অভিযোগ উঠেছে। ষড়যন্ত্রের রেশ ধরে বাহের রোডের বাসিন্দা সারমিন আক্তার গত ২৮ জুলাই সদর থানায় তার ভাসুর আবুল বাশার শামীম ও তার পুত্র সাইদুল বাশার স্বরণ এর নামে একটি সাধারন ডায়েরী করেন, যাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে অনেকের চোখে পড়েছে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ী আবুল বাশার শামীমকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য এ জিডি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শামীমের পরিবারের অন্য সদস্যরা।
সাধারণ ডায়েরীতে সারমীন আক্তার উল্লেখ করেন, আমার স্বামী মনিরুজ্জামান মনির ১২ বছর পূর্বে এবং শশুর মজিদ হওলাদার চার বছর পুর্বে মৃত্যু বরণ করেন। তাদের মৃত্যুর পর আমার শ্বশুর মজিদ হাওলাদারের সকল সম্পত্তি দোখাশুনা করতে গিয়ে আমার ভাসুর শামীম, শশুরের কিছু জমি এবং বাসগাড়ী বিক্রি করে আমাকে কোনো টাকার ভাগ দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে শামীম এবং স্বরণ আমাকে গালমন্দ ও মারধরের চেষ্টা করেছে।'
এ বিষয়ে আবুল বাসার শামীমের কাছে থাকা সকল তথ্য বিশ্লেষন করে যানা গেছে , আব্দুল মজিদ হাওলাদারের মৃত্যুর পর তার ভাই হারুন অর রশিদ ও তার ওয়ারিশদের বিবাদী করে শামীম ও তার ওয়ারিশগন ঝালকাঠি যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত ও ডেলিগেট জজ আদালতে সাকসেসন মোকদ্দমা (২৮/২০২১) দায়ের করেন।
২০২১ সালে আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম এর সাকসেসন মোকদ্দমার আদেশ অনুযায়ী আবুল বাসার শামীম তার প্রয়াত ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মনিরের নাবালিকা কণ্যা অধরা জামান এর নামে পুবালী ব্যাংক ঝালকাঠি শাখায় ২০২২ সালের ১৪ জুন ৪০ লাখ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট করেন। এর পরের দিন ১৫ জুন মনিরের নাবালক পুত্র অর্ণব জামান অমি'র নামে অনুরুপভাবে বেসিক ব্যাংক ঝালকাঠি উপ-শাখায় (৩০ ও ৫০) মোট ৮০ লাখ টাকার দুটি ফিক্সড ডিপোজিট করেন।
এদিকে গত ২৮ জুলাই বিকাল অনুমান ৪টার দিকে বাহের রোডস্থ বসত ঘরের সামনে পাওনা টাকা চাইতে গেলে শামীম এবং স্বরণ কর্তৃক গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টার কথা সারমিন আক্তার সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ করেন।
তবে শামীমের দেয়া তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী জানাগেছে, ঐ সময় আবুল বাশার শামীম ও স্বরণ দুজনেই ঢাকায় ছিলেন। ঐ দিন বিকেলে শামীম নিজস্ব গাড়িতে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে পদ্মা সেতু টোল রশিদ সংগ্রহ করে রাত ৯টার দিকে বরিশালে পৌছায়।
অভিযোগের বিষয়ে আবুল বাশার শামীম বলেন, 'আমার প্রয়াত ভাই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী সারমিন আক্তার আমার প্রয়াত বাবা আব্দুল মজিদ হাওলাদারের কোন ওয়ারিশ নয়। প্রকৃত ওয়ারিশ মনিরের দুই সন্তান। তারা দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত আছে। মনিরের দুই সন্তানের পড়াশুনা, ভরণপোষণসহ সকল খরচ ১২ বছর ধরে আমি বহন করেছি। সম্প্রতী মনিরের ছেলের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে। আমি আগামী মাসে ওমরা হজ্জ পালন করে এসে অর্থসহ সব কিছু বুঝিয়ে দিবো।
(এমআর/এসপি/আগস্ট ২০, ২০২৫)