সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : দুর্নীতির অভিযোগে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এ নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে চাকরি হতে বরখাস্তকরণ অথবা গুরুদন্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ডা. শর্মী রায় বর্তমানে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকলেও একই জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও করোনাকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দকৃত সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ হয়। তদন্ত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করেন পিরোজপুরের সিভিল সার্জন। তদন্তে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ডা. শর্মী রায়কে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরিত মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইডে প্রকাশিত নোটিশে এ সব তথ্য জানা গেছে। নোটিশে ডা. শর্মী রায়কে আরও বলা হয়েছে, ‘যেহেতু আপনার উপর্যুক্ত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য, সেহেতু আপনাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক অসদাচরণ এর দায়ে অভিযুক্ত করা হল এবং কেন আপনাকে উক্ত বিধিমালার অধীনে চাকরি হতে বরখাস্তকরণ অথবা গুরুদন্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে নি¤œস্বাক্ষরকারীর নিকট কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।’

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে ডেকেছে এবং ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে।’

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. আ. স. মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এটা বিভাগীয় মামলা নয়, ওনাকে শোকজ করেছে। কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকেছে। কি সিদ্ধান্ত হয় দেখা যাবে।’

(এস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০২৫)