যশোরের আসন পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি

যশোর প্রতিনিধি : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যশোরের সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা পুনর্বিন্যাসের যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বুধবার যশোর জেলা শাখার পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছেন যে একটি মহল যশোরের দীর্ঘদিনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিচ্যুতি ঘটিয়ে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা করছে।
তারা বলেন, স্বাধীনতার পর বর্তমান অবস্থার ওপর ভিত্তি করেই যশোরের ৬টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। শুধুমাত্র ২০০৮ সালে অনির্বাচিত সরকারের আমলে এর ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছিল। যেটা দেশে অগণতান্ত্রিক শাসনকে দীর্ঘায়িত করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল ইকবাল সাবু ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, যশোর-৩ (সদর) আসনটি এ অঞ্চলের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রতীক। প্রায় ২৫ লাখ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এই আসনের সাথে জড়িত। এই আসনের কোনো ব্যবচ্ছেদ কিংবা পরিবর্তন তারা মেনে নেবেন না। একইভাবে যশোর-৬ আসনের পরিবর্তনও কোনোভাবেই কাম্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নার্গিস বেগম উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস কর্তৃক ঘোষিত ফেব্রয়ারী ২০২৬ সালের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টার অংশ হতে পারে। তারা মনে করেন, একটি নির্দিষ্ট সীমারেখায় বছরের পর বছর ধরে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ফলে ভোটারদের মধ্যে যে ঐক্য ও বন্ধন তৈরি হয়েছে, তা বিভাজিত করা ঠিক হবে না।
তারা নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি জনমতকে উপেক্ষা না করে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানান।
এর আগে ‘যশোরবাসীর ব্যানারে’ কয়েক হাজার মানুষ নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেন। তারা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। এ সময় উপস্থিত জনতা সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।
(এসএমএ/এএস/আগস্ট ২১, ২০২৫)