‘দুর্বৃত্তরা মেম্বারদের সই জাল করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অনাস্থা এনেছে’

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছে পরিষদের মেম্বাররা।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় সাধারণ ভোটারের ভোটে। ইউপি সদস্যদের (মেম্বার) অনাস্থায় কি আসে যায় বলছে স্থানীয় একজন ভোটার। তার দাবি, আমাদের চেয়ারম্যান অত্যন্ত ভালো মানুষ, তার বংশীয় একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমি যতদূর জানি, তার চাচা সেনাবাহিনীর বড় অফিসার ছিলেন; তিনিও ভালো মানুষ। আমাদের গরীব মানুষের জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন, চাকুরী থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত করিয়েছেন।
স্থানীয় আরো এক বাসিন্দা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুফল এর বিরুদ্ধে যে সকল মেম্বাররা অনাস্থা দিয়েছেন অধিকাংশ মেম্বারের সই জাল করে নিয়ে তারা এইসব করেছে। কারণ মেম্বাররা তার বিরুদ্ধে যাবে কেন? আমার জানা মতে তিনি তো কোন লুটপাটের সঙ্গে জড়িত না বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। তিনি একজন ভালো মানুষ।
কসবামাজাইল ইউনিয়নের একজন মেম্বার নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমি তো ঠিকমতো নাম লিখতে পারি না। ওরা আমার সই জাল করছে। আমি সুফল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন সই করি নাই।
ইউনিয়ন পরিষদের আরো একজন মেম্বার নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমাদের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে সই করানো হয়েছে সুফল চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ, সে বংশীয় পরিবারের সন্তান।
অনাস্থা বিষয়ে সাহরিয়ার মাহমুদ সুফল মুঠো ফোনে বলেন, আমি সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে, কখনোই আমি দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করি নাই। দুর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি, ভবিষ্যতে দিব না। কিছু দুর্বৃত্তরা আমার বিরুদ্ধে মেম্বারদের সই জাল করে মিথ্যা অনাস্থা এনেছে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আবু দারদা বলেন, একটা অনাস্থার কপি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(একে/এসপি/আগস্ট ২২, ২০২৫)