সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানকে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, না পেয়ে পুলিশে হন্তান্তর

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমার মল্লিককে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে উপজেলার সাহাপাড়া ক্রিস্টান মিশনারির সামনে থেকে 'ছাত্র জনতা' নামধারী একদল দুর্বৃত্ত মব তৈরি করে তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এর আগে পলাশ কুমার মল্লিকের বাড়ির দেওয়ালে কে বা কারা "১০ লাখ টাকা চাই, আসবো বাঁচতে পারবা না'' লিখে রাখেন।
পলাশ কুমার মল্লিকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে দুই থেকে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে তথাকথিত ছাত্র জনতা তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ছাত্র জনতা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা পলাশ কুমার মল্লিককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। মধ্যকুলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জামালের বাড়িতে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা একটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। পলাশ কুমার মল্লিক 'জামাল বাহিনী'র সহযোগি ও অর্থদাতা।
উল্লেখ্য, পলাশ কুমার মল্লিক পাঁচ বছর কেশবপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি নিজ দলের মধ্যেই অনেকটা উপেক্ষিত ছিলেন এবং উপজেলা পরিষদে বসার সুযোগ পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
(এসএ/এসপি/আগস্ট ২৩, ২০২৫)