রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর-কালনা গ্রামে ইকরাম মোল্যা (৬৫) নামে এক কৃষককে কলস দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের ওসমান মোল্যার (৫০) এর বিরুদ্ধে।

রবিবার (২৪ আগস্ট) ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কৃষক মারা যান।

ইকরাম মোল্যা ওই গ্রামের মৃত ইমান উদ্দিন মোল্যার ছেলে। তিনি কৃষি কাজের পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে ইকরামের ছেলে শিশু আরিফুলকে মারধর করেন ওসমান মোল্যা । এদিন সন্ধ্যায় চর-কালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে ইদ্রিস মেম্বারের দোকানে চা খেতে যাচ্ছিলেন ইকরাম মোল্যা। পথিমধ্যে দোকানের কাছাকাছি পৌঁছালে আরিফুলকে মারা নিয়ে একই এলাকার খলিল মোল্যার ছেলে ওসমান মোল্যার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওসমান চায়ের দোকানে রাখা পানি ভরা কলসি নিয়ে ইকরামের শরীরে সজোরে আঘাত করেন। এতে তিনি আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

পরে শনিবার (২৩ আগস্ট) তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নিয়ে যান। পরে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রবিবার (২৪ আগষ্ট) সকালে তিনি মারা যান।

সরেজমিনে রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে নিহতের বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, ইকরামুলকে কলস দিয়ে শরীরে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে মেডিকেলের ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী ওই ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওসমান মোল্যার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। চিকিৎসকের দেওয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরিবারের অভিযোগ থাকলে অবশ্যই লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে।

(আরএম/এএস/আগস্ট ২৪, ২০২৫)