দল পাল্টেও শেষ রক্ষা হলো না সেলিমের

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মাহাবুবুল আলম সেলিম (৫৮)। তিনি সাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। পট পরিবর্তনের পর চলতি বছরের গত ১৪ মার্চ মো: মাহাবুবুল আলম সেলিমকে আহবায়ক ও মো: জাহিদ খানকে সদস্য সচিব করে কাশিয়ানী উপজেলা শ্রমিক দলের সংক্ষিপ্ত আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। মামলা ও গ্রেফতার এড়াতে ওই ইউপি চেয়ারম্যান শ্রমিক দলে যোগ দেন। কিন্তু শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে কাশিয়ানী থানা পুলিশ তাকে এনসিপির সমাবেশ বাঁধা দেওয়া সংক্রান্ত নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করে। তাই দল পাল্টেও তার শেষ রক্ষা হলনা বলে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তিনি ওই ইউনিয়নের কুসুমদিয়া গ্রামের মৃত আবুল কালাম সামচুদ্দিন মোল্লার ছেলে।
মো: মাহাবুবুল আলম সেলিমকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত ওই নেতাকে রোববার আদারতের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচী বাঁধাগ্রস্থ করতে কাশিয়ানী উপজেলার মাজড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর গাছ কেটে ফেলে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পালিয়ে যান । এঘটনায় পরের দিন সন্ধ্যায় কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলীমুল হুদা জনি বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ ও ৩ শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো: আব্দুল্লাহ বলেন, ঘোষণার ১৫ দিন পর কাশিয়ানী উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক কমিটি অনিদ্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হয়। আওয়ামী লীগের বড় ধরনের কোন পদপদবী ধারীকে দলে নেওয়া যাবে না বলে দলের নির্দেশনা আছে । খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি মো: মাহাবুবুল আলম সেলিম আওয়ামী লীগের বড় পদে ছিলেন। এটা জানার পর ওই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
(টিবি/এসপি/আগস্ট ২৪, ২০২৫)