বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মো: শওকত আলী (৭০) নামের এক বৃদ্ধ আহত হয়েছেন। সে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

আহত মো: শওকত আলী পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা।

আজ রবিবার দুপুরে পাংশা মডেল থানায় আহত মো: শওকত আলীর ছেলে মো: আসমত আলী শেখ দুইজন কে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের মৃত ইমান সরদারের ছেলে মো: আতর সরদার (৪০) ও মো: সিরাবন সরদার (১৭)। অভিযুক্তরা সম্পর্কে বাপ ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২৩ আগষ্ট) সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা বাদী মো: আসমত আলী শেখ এর বসত বাড়ি এসে হামলা চালায়। তারা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং বাদীর পিতার মাথায় লাটি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের চিৎকার শুনে ঘটনা স্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো: আসমত আলী শেখ বলেন, আমার পিতা মো: শওকত আলী ও ইমান আলী সরদার (হামলাকারীরা পিতা) দীর্ঘদিন আগে একই দাগের ৩৬ শতাংশ জমির মধ্যে ২১ ও ১৫ শতাংশ ভাগাভাগি করে কিনেন। তারা তার পিতার কেনা জমিতে তারা বসত বাড়ি করে ভোগদখল করে আসছে। তবে ইমান আলী সরদার দীর্ঘদিন আগে তার ২১ শতাংশ জমির মধ্যে ১৩ শতাংশ শহীদ প্রামাণিক ও ৮ শতাংশ আমিন সরকারের (ছেলে) কাছে বিক্রি করে দেয়। আমিন সরদারের কাছ থেকে মমিন মন্ডল ওই ৮ শতাংশ আবার কিনে নেন। মমিন মন্ডলের কাছ থেকে অভিযুক্ত আতর আলী আবার ওই ৮ শতাংশ কিনে ভোগদখল করে। আমার সাথে অভিযুক্ত আতর আলীর সাথে এই জমি কেন্দ্রিক ঝামেলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সে কারণে অকারণে আমার সাথে এই জমি নিয়ে বিরোধ করে। আমার জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করে নিয়েছে। এখন আমার বাড়ির সব কিছু ভেঙে ছুড়ে ফেলেছে। আমার বাবার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার বাবার মাথায় ৮ টা সিলাই লেগেছে, সে এখন মৃত্যুশয্যায়।

তিনি আরও বলেন, উপয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিক মাস্টার মুঠোফোনে অভিযোগ তোলার হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগ না তুলে নিলে বাড়ি গেলে আমার পরিবারের উপর আবারও হামলা চালানোর কথা বলেছেন।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, লিখত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এসপি/আগস্ট ২৪, ২০২৫)