ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দাবি আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ না আসায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালের দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন বলেন, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। এরপর হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে আমরা ক্লাস বর্জন, ক্লিনিক্যাল ও ল্যাব প্র্যাকটিস বন্ধ ঘোষণা করেছিলাম।
আরেক শিক্ষার্থী শামীম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার চার মাসের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যারা আমাদের লাঞ্ছিত করেছে, তারা এখনও ক্যাম্পাসে বহাল রয়েছেন। তাদের অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। নতুবা আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
স্টুডেন্ট নার্সেস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওপর হামলায় মদদ দিয়েছেন শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম। অথচ তারা এখনও স্বপদে বহাল রয়েছেন। তাদের অপসারণ করতে হবে। আমরা ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভের পাশাপাশি অধ্যক্ষ স্যারকে স্মারকলিপি দিয়েছি। যতোদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ না হবে, ততোদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে-হামলার প্রায় সাড়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের বদলি বা অপসারণ না করায় সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা। বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। অভিযুক্ত শিক্ষক, তাদের পরিবার ও সহযোগিদের বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন রুটিন প্রকাশ।
দাবি মানতে বিলম্ব হলে পর্যায়ক্রমে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি পালন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত এনে শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনা বা হুমকি দেওয়া হলে তার দায়ভার অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের ওপর বর্তাবে এবং শিক্ষার্থীদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
(টিবি/এসপি/আগস্ট ২৫, ২০২৫)