আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রতি ‘বৈষম্যমূলক নীতি’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অসাধারণ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে সম্মান দেখান, নাহলে পরিণতি ভোগ করুন।

এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এলো, যখন এক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারা একসঙ্গে ‘অন্যায্য বাণিজ্য বাধা মোকাবিলা করবে’ ও ‘ইলেকট্রনিক লেনদেনে’ শুল্ক আরোপ করবে না। এছাড়া ২৭ সদস্যভুক্ত ইইউ নিশ্চিত করেছে যে তারা নেটওয়ার্ক ব্যবহার কোনো ফি চালু করবে না।

সোমবার (২৫ আগস্ট) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ডিজিটাল ট্যাক্স, ডিজিটাল সেবা আইন ও ডিজিটাল বাজার নিয়ন্ত্রণ, এসবই তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত ও বৈষম্যের শিকার করার জন্য। অথচ চীনের বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে এসবের বাইরে রাখা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে ও এখনই বন্ধ করতে হবে।

ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, যেসব দেশ মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর ডিজিটাল কর আরোপ করবে, সেসব দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের অতিরিক্ত শুল্ক বসাবে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই ‘অত্যন্ত সুরক্ষিত প্রযুক্তি ও চিপ’ রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে।

তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্বের পিগি ব্যাংক বা সঞ্চয়ের পাত্র নয়। আমাদের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে আঘাত করার চেষ্টা করলে সবাইকে তার ফল ভোগ করতে হবে।

বর্তমানে ডিজিটাল করের ইস্যুটি ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য আলোচনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। গত জুনেই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল, কানাডা যদি ডিজিটাল কর প্রত্যাহার না করে তবে তাদের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ডিজিটাল সেবা কর সাধারণত সবচেয়ে বড় ও প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর প্রযোজ্য হয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যালফাবেট, মেটা এবং অ্যামাজনের মতো মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টরা। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোকে এসব কর প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিয়ে আসছেন।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৬, ২০২৫)