কেন্দুয়া প্রতিনিধি : কেন্দুয়া উপজেলা গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শামীম নিখোঁজের প্রায় দুই মাস হলেও শামীমের কোন সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ। তবে র‌্যাব-১৪ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ২৪ আগষ্ট গভীর রাতে সাইফুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার থেকে দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছে। শামীম নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সাইফুল ইসলাম মনকান্দা এম,ইউ আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ডুমদি গ্রামে।

জানা যায়, চলতি বছরের গত ২ জুলাই রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়ি মনকান্দা থেকে শশুর বাড়ি বীরমুহুরী গ্রামে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম শামীম। ৩ জুলাই তার বড় ভাই বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি জিডি করেন। গত ৫ জুলাই রাত ৮ টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গৈচাশিয়া ও মনকান্দা গ্রামের মাঝখানে শামুকজানী নদীর উপর ব্রিজের নিচ থেকে শামীমের ব্যবহার করা একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে।

এদিকে শামীম নিখোঁজের পর বিক্ষোভে ফেটে পরেন এলাকাকবাসী। সন্ধান না পেয়ে শামীমের বড় ভাই মো: সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম সহ এজাহারে ২০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ কে আসামি করে নেত্রকোণা আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে কেন্দুয়া থানার ওসিকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য নির্দেশ দেন। গত ২৫ জুলাই কেন্দুয়া থানায় ৩৬৪/৪০০/৫০৬(২)/৩৪ দ:বি: ধারায় এফআইআর হিসেবে গণ্য করা হয়।

মামলার বাদী শামীমের বড়ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম মনকান্দা মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকা কালীওনে সময়ে লোকবল নিয়োগে দূর্নীতির ও বিভিন্ন বেআইনি কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছিল আমার ভাই শামীম। সেই জের ধরে তারা প্রকাশ্যেই বলাবলি করতেন আমার ভাই শামীমকে নিখোঁজের পর হত্যাকরে লাশ গুম করে ফেলবে। আমরা লাশ খোজেও পাব না। আমার অভিযোগ শামীম নিখোঁজ প্রক্রিয়ায় সাইফুল ইসলাম সহ অন্যরাও জড়িত। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের সন্ধান চাই এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারে দাবি জানাই।

কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো: নজরুল ইসলাম বলেন সাইফুল ইসলাম পেশায় একজন শিক্ষক হলেও তিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। র‌্যাব-১৪ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গড়াডোবা ইউনিযনের ডুমদি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আমাদের হাতে তুলে দেন। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করি। বিজ্ঞ আদালত সাইফুল ইসলামের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি জানান জিজ্ঞাসাবাদের পর অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হবে।

(এসবি/এসপি/আগস্ট ২৭, ২০২৫)