দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : আজ বুধবার ফরিদপুর সদর উপজেলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে নিয়ম না মানার অভিযোগে আটটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।

অভিযানে অংশ নেয় জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই ফরিদপুর জেলা কার্যালয়, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি সদস্যরা।

আইন লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ

১. তাকওয়া লাইভ বেকারী, পশ্চিম খাবাসপুর– ব্রেড পণ্যের জন্য বিএসটিআই-এর সিএম লাইসেন্স না থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

২. মেসার্স মামার মুরগির দোকান, মেডিক্যাল বাজার– অনুমোদনহীন ওজন যন্ত্র ব্যবহারের দায়ে 'ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮'-এর আওতায় ৫০০ টাকা জরিমানা।

৩. মেসার্স বিসমিল্লাহ মিল্ক ভান্ডার, মেডিক্যাল বাজার– তরল দুধ মোড়কজাত করার নিবন্ধন না থাকায় ৫০০ টাকা জরিমানা।

৪. দাস ফার্মেসি, মেডিকেল রোড– মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে 'ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০১৮'-এ ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

৫. উত্তম ফার্মেসি, মেডিকেল রোড– একই অভিযোগে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

৬. খান মেডিকেল, মেডিকেল রোড– মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

৭. ৩১৩ জুসবার অ্যান্ড ফুড কর্নার, মেডিকেল রোড– অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবেশনের দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

৮. আল-রাজ্জাক হোটেল, মেডিকেল রোড – একই ধরনের অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

অভিযান পরিচালনায় ছিলেন- মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ তন্ময় ইসলাম এবং জনাব দীপ্ত চক্রবর্তী।

প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোঃ খালিদ হাসান, পরিদর্শক (মেট), বিএসটিআই এবং জনাব এস এম সোহরাব হোসেন, ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই।

এছাড়াও অভিযানে অংশগ্রহণ করেন ফিল্ড অফিসার (সিএম) জনাব মোঃ সাব্বির হোসেন পুলক এবং পরিদর্শক (মেট) জনাব মোঃ জুবায়ের আল সিদ্দিকী।

অভিযান শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের তদারকি কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং খাদ্য ও ভোক্তা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না।

(ডিসি/এসপি/আগস্ট ২৭, ২০২৫)