মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জেনারেল ওসমানী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন

আবীর আহাদ
আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর ১০৭তম জন্মজয়ন্তী। ১৯৭১ সালের ৪ঠা এপ্রিল তিনি মুক্তিযুদ্ধরত বাংলাদেশকে প্রাথমিকভাবে ৪টি আঞ্চলিক সামরিক কমাণ্ডে এবং জুন মাসে মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের অনুমোদনক্রমে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে সম্মিলিত মুক্তিবাহিনীকে পরিচালনা করেন। অতঃপর ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ কমাণ্ডে হানাদার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতায় দু'বার জেনারেল ওসমানীর সাথে আমার সংযোগ ঘটে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সদস্য ও পরবর্তীতে একজন স্বতন্ত্র রাজনৈতিক নেতা হিশেবে তাঁকে আমি অত্যন্ত নিকট থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছি।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জেনারেল ওসমানী একজন সফল সেনানায়ক হিশেবে চিরকাল স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে আমি তাঁর অবিস্মরণীয় স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি।
লেখক :চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।