স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটায় ভাড়াটিয়া এক নারীকে (২৫) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তীব্র রহস্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, চারজনকে ফাঁসানো হয়েছে এবং মামলার পেছনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

অভিযোগের বর্ণনা
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সৈন্যারটেক লন্ডনীর বাড়ির সেলিমের ভাড়া বাসায় চার যুবক প্রবেশ করে ভাড়াটিয়া ওই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় বাসায় আসা তিনজন অতিথিকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়।

মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তাররা হলেন—সাইফুল ইসলাম (২৬), সালাউদ্দিন (২৬), আকতার (৩৭) ও এমরান হোসেন (২৮)। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ।

পাল্টা অভিযোগ
তবে প্রত্যক্ষদর্শী টিপু ও স্থানীয় চৌকিদার সোহেল ভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন। তাদের দাবি, ঘটনাস্থলে কোনো ধর্ষণচেষ্টা হয়নি। “তিলকে তাল বানিয়ে মামলা সাজানো হয়েছে,”—এমন অভিযোগও তুলেছেন তারা। তাদের মতে, কর্ণফুলী থানার এসআই আকাশ মাহমুদ ভুক্তভোগী নারীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে অভিযোগ দায়ের করাতে ভূমিকা রেখেছেন।

যোগাযোগ করা হলে এসআই আকাশ মাহমুদ বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না, ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।” এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।

তদন্তের দাবি
এলাকার আরও কয়েকজন ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে নিরীহ চার যুবককে ফাঁসানো হয়েছে। তাদের দাবি, মামলাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা জরুরি।

পুলিশের বক্তব্য
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, “ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

(জেজে/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৫)