রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইল সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বিষয়টি করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সির ছেলে শাহিন মুন্সি, ভওয়াখালী গ্রামের মৃত লালমিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবুল, সলেমানের ছেলে সেলিম, ফেদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা এবং মাগুরা জেলার খানপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তেজারত মোল্যা। তবে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে তেজারত মোল্যা আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকি চারজন পলাতক রয়েছেন।

আলাদত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২৭ বছর আগে ১৯৯৮ সালের (২৪ জুন) নড়াইল সদর উপজেলা শহরের পুলিশ সুপারের অফিসের পাশে ভওয়াখালী গ্রামে নির্মল পোদ্দার ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ওইদিন রাত আনুমানিক ১১টার সময় অজ্ঞাত আসামিরা বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির উদ্দেশে সব সদস্যদের অস্ত্রের মুখে হাত পা-বেঁধে ফেলেন। এসময় নির্মল পোদ্দার ডাকাতদের রামদায়ের কোপে মারাত্মক আহত হন। ডাকাতরা প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নির্মল পোদ্দার মারা যায়। এ ঘটনায় নির্মল পোদ্দারের মেয়ে পলি পোদ্দার নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।

মামলাটি দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় রায়ের ধার্য দিন মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার পাঁচজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া তিন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন।

(আরএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৫)