রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজের চারদিন পর মুন্নী খানম (২২) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাঐসোনা ইউনিয়নের দক্ষিণ নলামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মুন্নী খানম উপজেলার দক্ষিণ নলামারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী শিমুল মীনার মেয়ে এবং খুলনার তেরখাদা উপজেলার কুশলা গ্রামের হৃদয় ইসলামের স্ত্রী।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে হৃদয় ইসলামের সঙ্গে মুন্নী খানমের বিয়ে হয়।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে নিহত মুন্নী খুলনার শ্বশুরবাড়ি থেকে একাই বাবার বাড়ি কালিয়াতে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ভুক্তভোগীর মা সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে নড়াগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে দক্ষিণ নলামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় স্হানীয়রস বিদ্যালয়ের পেছনের কচুরিপানায় ভরা একটি ডোবায় অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। পরে স্বজনরা মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তারা মুন্নীকে তিন থেকে চারজন যুবকের সঙ্গে একটি অটোরিকশায় উঠতে দেখেছেন। তবে অটোরিকশাটি কোন দিকে গেছে কালিয়া নাকি গোপালগঞ্জ, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

(আরএম/এএস/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৫)