স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ভোটার ও এজেন্টবিহীন নির্বাচন যাতে বাংলাদেশে আর না হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করে যাচ্ছে। আজ বুধবার ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‎গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রিসাইডিং অফিসারকে কেন্দ্র বন্ধ বা চালু রাখার সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আরপিও থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র দাঁড়াতে পারবে কিনা সেটা সময় বলে দেবে। অন্যদিকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও, নিজ নিজ দলের প্রার্থীরা তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

তিনি বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দিলে ইসি পরে ব্যবস্থা নিতে পারবে, দোষ প্রমাণ হলে সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদও হারাবেন। আর আদালত কর্তৃক যারা ফেরারি ঘোষিত হবেন, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া লাভজনক পদে যারা আছেন, যারা সরকারি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার আছে এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

ইভিএম-সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, পোস্টাল ব্যালট হবে প্রতীকের ব্যালট। আর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনের ব্যালটে ‘না’ ভোট থাকবে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৫)