সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে একর পর এক আগুন দস্যুদের পরিকল্পিত অপতৎপরাতা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে পুড়ে যাবার হাত থেকে বাঁচাতে এবার লোকালয় সন্নিহিত আরো ১৪ কিলোমটার এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে নাইলনের ফেন্সিং, চরম ঝঁকিপূর্ণ এলাকায় দুটি আরসিসি ওয়াচ টাওয়ার ও ঘূণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ প্রকৃতিক দূর্যোগে বাঘ হরিণসহ বন্যপ্রানীদের আশ্রয়ের জন্য মাটির তৈরী দুটি উঁচুকিল্লা। বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এসব নির্মিত হচ্ছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এসব প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। 

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে আগুন দস্যুরা যাতে এই বনে সহজে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ইতিমধ্যেই লোকালয় সন্নিহিত ২৫ কিলোমটার এলাকায় নাইলনের ফেন্সিং নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে আরো ১৪ কিলোমিটার এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে নাইলনের ফেন্সিং। একই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশনের নাংলী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ি ও ধানসাগর ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির চরম ঝঁকিপূর্ণ এলাকার দুটি উচু আরসিসি ওয়াচ টাওয়ারও নির্মাণ করা হচ্ছে। লোকালয় সন্নিহিত ঝঁকিপূর্ণ ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাকি ৬ কিলোমিটার এলাকায়ও নাইলনের ফেন্সিং নির্মাণ কাজ সহসাই শুরু হবে। সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের বৈদ্যমারী থেকে শুরু হয়ে শরণখোলা রেঞ্জের দাসেরভারানী টহল ফাঁড়ি পর্যন্ত বনের বিভিন্ন ঝঁকিপূর্ণ পয়েন্টে এ নাইলনের ফেন্সিং এবং নাংলী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ি ও ধানসাগর ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির চরম ঝঁকিপূর্ণ এলাকার দুটি উচু আরসিসি ওয়াচ টাওয়ারও নির্মাণ কাজ শেষ হলে আগুন দস্যুদের অপতৎপরাতা নিয়ন্ত্রণ করে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা ও বাঘ হরিণসহ বন্যপ্রাণীদের লোকালয়ে চলে যাওয়াও রোধ করা যাবে। পাশাপাশি মাটির তৈরী দুটি উঁচুকিল্লা তৈরীর কাজ আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হলে বাঘ হরিণসহ বন্যপ্রানীরা ঘূণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ প্রকৃতিক দূর্যোগের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারবে। এছাড়া সহসাই নতুন করে সুন্দরবনে অগ্নিনির্বাপক ফায়ার ফাইটিং সিষ্টেম,পন্টুনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কেনা হবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৫)