স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে রহমতখালী খালে যাত্রাবাহী পড়ে পাঁচ নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে দুর্ঘটনার ঠিক একমাস আগে গত ৭ অক্টোবর ভোরে ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারের ওই খালেই একটি মাইক্রোবাস ডুবে যায়। এতে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়।

নিহত পাঁচজন হলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের মো. মোরশেদ আলম (৪০) ও জয়নাল আবেদীন (৫৭), হুমায়ন করীর, মাজেদ, রিপন, হুমায়ুন রশিদ। তিনি নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর বকুল ভিলায় নামের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি এরিস্টো ফার্মা নামে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন৷

জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে আনন্দ পরিবহনের একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রহমতখালী খালে পড়ে যায়। এতে বাসটি ডুবে যায়। বাস থেকে অন্তত ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে শনিবারের দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পার হলেও ঘটনাস্থলে ডুবুরি পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় উদ্ধারকারীদের। এছাড়া পানিতে কেউ ডুবে আছেন কি না তাও নিশ্চিত বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। খালের তলদেশে এখনো যাত্রীরা থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।

এ ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে রয়েছেন। তাদের দাবি, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেরিতে আসায় ক্ষতি বেশি হয়েছে।

অন্যদিকে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও বাসটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, অচেতন অবস্থায় আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেছি। এরমধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৫)