প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম : প্রকৃতিতে অনেক ব্যতিক্রমধর্মী দৃশ্য চোখে পরে যা খানিকটা হলেও আগ্রহী করে তোলে মানুষকে। তেমনি একটি দুর্লভ ঘটনায় সাড়া পরেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাটারী গ্রামের মানুষের মধ্যে।

এই গ্রামের হাড়ি-পাতিল ব্যবসায়ি আব্দুর রশীদ বিভিন্ন গ্রামে ফেরী করে জিনিসপত্র বিক্রি করেন। সেদিনও কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এসময় পুকুর পাড়ের রাস্তায় চোখ আটকে যায় তার। একটি ছোট বক হাঁটছিল। (স্থানীয় ভাষায় যাকে কানি বক বলা হয়) তার বুক থেকে আরও দুটি পা ঝুলছিল। প্রথমে ভেবেছিলেন পাখার ভিতরে বাচ্চা লুকিয়ে আছে কিনা! কিন্তু পাখা মেলে আরেক জায়গায় উড়ে যাওয়ার পর লক্ষ করলেন বকটির আসলে দুটি নয়, চারটি পা রয়েছে। তিনি খুব উৎসাহ বোধ করে বাড়িতে মালপত্র রেখে বকটি শিকারে নেমে পরলেন। একসময় কৌশলে হাত দিয়েই কানি বকটি ধরে ফেললেন। এরপর বকটিকে খাচাবন্দি করে বাসায় এনে রাখলেন। এ খবর ছড়িয়ে পরার পর তার বাড়িতে আগ্রহী মানুষের ভীড় বাড়তে লাগল।

স্থানীয় সাংবাদিক অনিল চন্দ্র রায় জানান, আমরা বিভিন্ন জনের কাছে প্রশ্ন করে জানতে পেরেছি এরকম ঘটনা তাদের চোখে কখনো পরেনি। এবারই প্রথম। যদিও বন্য প্রাণী খাঁচায় বন্দি রাখা অপরাধ; বিষয়টি আব্দুর রশীদকে অবগত করা হয়েছে।

পার্শ্ববর্তী দাসিয়ারছড়া গ্রামের বদিয়ত আলী জানান, ঘটনা শুনে ছুটে দেখতে এসেছি। আমার পঞ্চাশ বছরের জীবনে এমন চারপায়া বক দেখি নাই।

আব্দুর রশীদ জানান, বকটি প্রথমে দেখে আমি অবাক হই। নিজের আগ্রহ থেকে কৌশলে বকটি ধরে এনে খাঁচায় রেখেছি। বকটিকে খাওয়াতে বাজার থেকে মাছ কিনে আনি।বকটির বেশ যত্ন নেয়া হয় বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ি প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক বলেন, এটি একটি দেশি প্রজাতির বক। গ্রামের মানুষজনের কাছে কানি বক বলে পরিচিত। জন্মগত ত্রুটির কারনে এমনটি হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।

(পিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৫)