রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়ায চাঞ্চল্যকর যুবদল কর্মী সালমান খন্দকার হত্যা মামলায় আরও এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী উপজেলার চালিঘাট গ্রামের বুরাক শেখের ছেলে শিপন শেখ (৩২)।

পুলিশ জানায়, গত ৮ মে রাতে লোহাগড়ার শামুকখোলা গ্রামের খাজা খন্দকারের ছেলে ও যুবদল কর্মী সালমান খন্দকার (২৬) পরিকল্পিতভাবে খুন হয়।

এর দুই দিন পর নিহতের ভাই নাহিদ খন্দকার বাদী হয়ে ওই এলাকার ২০ জনকে আসামী এবং আরো অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এজাহারভুক্ত আসামীদের বাইরে প্রকৃত হত্যাকারীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এরই ধারাবাহিকতায় ৫ সেপ্টেম্বর লোহাগড়া থানা পুলিশের এসআই তারক বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মামলার প্রধান আসামী নয়ন কাজীকে গন্ডব গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।

আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে নয়ন কাজী হত্যাকাণ্ডে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে শিপন শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিপন শেখ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শিপন শেখ স্বীকারোক্তিতে জানান— আট লাখ টাকার চুক্তিতে সালমান খন্দকারকে হত্যা করা হয় এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তারক বিশ্বাস বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া নয়ন কাজীর জবানবন্দি মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার শিপন শেখকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

(আরএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৫)