আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে নড়াইলের পার-মল্লিকপুর গ্রাম ফের অশান্ত

রূপক মুখার্জি, নড়াইল : আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পার মল্লিকপুর গ্রাম আবারও অশান্ত হয়ে পড়েছে। বিবাদমান দুটি পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন মিজু কাজী নামে একজন ইজারাদারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে , নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের পার-মল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ফের অশান্ত হয়ে পড়েছে। বিবাদমান দুটি পক্ষ দীর্ঘ বিরতির পর ফের দ্বন্ধ-সংঘাত এবং সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছে। বিবাদমান দুটি পক্ষ হলো, ওই গ্রামের মশিয়ার শেখ ও ইমরুল মোল্যা সমর্থিত 'ঠাকুর গ্রুপ' এবং জলিল শেখ, আব্দুলাহ শেখ ও আজম মৃধা সমর্থিত 'মৃধা গ্রুপ। বিবাদমান এ দুই গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে ২০১৬ সালের ১৬ আগষ্ট সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় নুর ইসলাম মৃধা ও ইকবাল মৃধা নামে দুজন গ্রামবাসী খুন হয়। চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের ঘটনার মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
জোড়া খুনের মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ফের অশান্ত হয়ে পড়েছে পার- মল্লিকপুর গ্রাম। দীর্ঘদিনের যেয়ে থাকা দ্বন্দ্ব সংঘাত আর সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।
এর জের ধরে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুর গ্রুপ সমর্থিত মোশাররফ কাজীর ছেলে ও লোহাগড়া হাট-বাজারের ইজারাদার মিজু কাজীকে (৩৭) ইজিবাইক থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ মৃধা গ্রুপ সমর্থিত লোকজন। স্হানীয় লোকজন আহত মিজুকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, 'ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ বা মামলা দায়ের করে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।’
(আরএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৫)